The Dog
১.
নতুন বাসা।কিন্তু পুরনো সবকিছু।পুরনো দেয়াল, পুরনো খাট, পাশে পুরনো একটা টেবিল।হঠাৎ রুমের এক কোণে দৃষ্টি যায় আমার। একটা সজীব ফলের টুকরা পড়ে আছে ওখানে।
পাশের রুম থেকে একটা শব্দ ভেসে আসে, কুকুরের শব্দ। কুকুরটা কোনো আগন্তুক নয়। একটু আগেই বাড়ির দাড়োয়ান রহমত মিয়া তার এই পোষা কুকুরের সাথে পরিচয় করে দিয়েছে আমাকে।
রহমত মিয়া লোকটাকে ভালোই লাগলো আমার। তাকে শুধু একটা কথাই বলেছিলাম,
- শুনলাম বাড়িটা নাকি ভুতের বাড়ি নামে পরিচিত?
- আমি ওসব বিশ্বাস করি না।
- আমি ও।
মধ্যরাতে হঠাৎ কিসের শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেলো। ঝাপসা চোখে আশেপাশে তাকালাম। নাহ।কিছু নেই। পরখ করলাম, ফলের টুকরাটা আগের জায়গায়ই আছে।যাক বাচা গেলো।
২.
অনেক দিন পর আজকে এখানে আসলাম। গ্রীষ্মের ছুটিতে বাসায় থেকেছি অনেকদিন। আমাকে দেখে কুকুরটা দৌড়ে ছুটে এলো। পুরনো এক বন্ধুকে আজ খুজে পেয়েছে সে।
রাতে শুয়ে শুয়ে বই পড়তে থাকলাম। শরৎচন্দ্রের এই একটা গল্প এখনো পড়া হয়ে উঠেনি।কিন্তু কখন যে ঘুমিয়ে গিয়েছি খেয়াল নেই।
ঘুম ভাঙলো একটা চিৎকারে, পরিচিত চিৎকার। কিছু বুঝে উঠার আগেই , দরজা দিয়ে কুকুরটা দৌড়ে বের হয়ে গেলো। দেখলাম, মুখে অনেক রক্তের ছাপ ছিলো ওর।
পাশের রুমেই ছিলো রহমত মিয়ার রক্তাক্ত লাশ। ভীষণ ক্ষোভ জাগলো কুকুরটার উপর। মাথাটা ঘুরতে থাকলো। খাটের উপর বসে পড়লাম। আর চিন্তা করতে থাকলাম কুকুরটার কথা, তার পোষা কুকুরটার কথা।
হঠাৎ রুমের এক কোণে দৃষ্টি যায় আমার। ঐ ফলের টুকরাটা এখনো সজীব হয়ে পড়ে আছে ওখানেই।